Thursday, January 23, 2014

0

KOBITA

  • Thursday, January 23, 2014
  • sohag
  • মাছি
                   থাক্‌ থাক্‌ থাক্‌ আর বলে না,
                   আন্‌কথাতে মন গলে না-
                   ব্যবসা তোমার সবার আছে জানা।
                   ঢুক্‌লে তোমার জালের ঘেরে
                   কেউ কোনদিন আর কি ফেরে?
                   বাপ্‌রে! সেথায় ঢুক্‌তে মোদের মানা।
     COLLECT
    Read more

    Tuesday, January 21, 2014

    0

    BOGRA NEWS LIVE UPDATE

  • Tuesday, January 21, 2014
  • sohag
  • Read more
    0

    JOKOS

  • sohag
  • রেস্টুরেন্টে প্রেমিক-
    প্রেমিকা
    প্রেমিক : কী খাবে?
    প্রেমিকা : আমার জন্য এক কাপ চা হলেই চলবে তোমার জন্য
    এ্যাম্বুলেন্স।
    প্রেমিক : মানে?
    প্রেমিকা : মানে ঐ দেখ আমার স্বামী ঢুকছেন- কিন্তু দেখা গেল স্বামীর পিছন পিছন ঢুকছে আরেক তরুনী। এবার প্রেমিকা (মানে ঐ স্বামীর প্রকৃত স্ত্রী) মূর্ছা গেলেন। প্রেমিকের জন্য
    আনা এ্যাম্বুলেন্সে করে প্রেমিকাকে নিয়ে ছুটতে হলহসপিটালে।
    Read more

    Monday, January 20, 2014

    0

    বৃহস্পতিবার বগুড়ায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

  • Monday, January 20, 2014
  • sohag
  • তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়ার প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার বগুড়া জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে জেলা বিএনপি।

    সোমবার বিকালে বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে আয়োজিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৭৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বগুড়া জেলা বিএনপির তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির শেষ দিনের জনসভা থেকে হরতালের ঘোষণা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নিম্ন আদালত অর্থ পাচার মামলায় খালাস দেয়ার পরেও দুদকের আপিল গ্রহণ এবং তাকে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যা বিএনপির বিরুদ্ধে সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ।

    সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলম, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মাহবুব আলম শাহীন প্রমুখ।
    Read more

    Sunday, January 19, 2014

    0

    গল্প : অতঃপর ...

  • Sunday, January 19, 2014
  • sohag
  • একটি গল্প লিখেছি। আশা করি সবাই পড়বেন। আমি কোন সাহিত্যিক নই। তবুও গল্প লিখতে ভালোবাসি। পারি কি না পারি সেটা বড় কথা নয়। মাঝে মাঝে ইচ্ছে মত লিখি এটাই আমার কাছে বড়। সময় নিয়ে দয়া করে পুরো গল্পটি পড়বেন এবং আমাকে জানাবেন পড়ে আপনার কেমন লাগলো।  
    অতঃপর ... 
    মোঃ আব্দুল্লাহ আল মারুফ
    রাস্তার পাশের কাঁঠাল গাছের নিচে বসে আছে ছেলেটি। অনেকক্ষণ সময় ধরে বসে বসে কি যেন ভাবছে। আর চেয়ে আছে সামনের সরিষা ক্ষেতের হলুদ সরিষা ফুলগুলোর দিকে। বাতাসের ছোঁয়ায় মিষ্টিভাবে অবিরাম দুলে যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু ছেলেটি একটুও নড়ছেনা, চেয়ে আছে ঐ এক দৃষ্টিতেই। ওর নাম তামজিদ। বয়স ১৬ বছর ৩ মাস ৪ দিন। ২০০৩-০৪ সালের কথা, ক্লাস ওয়ান-টু পড়েছিল এক প্রাইমারি স্কুলে। তারপর ক্লাস থ্রিতে ভর্তি হয় অন্য একটি স্কুলে। ছোটবেলা স্বভাবতই সবাই দুষ্টু হয়ে থাকে। কিন্তু এই ছেলেটি সেইসব দুষ্টুদের মাঝেও সেরা। চঞ্চলতা নিয়ে ছুটে বেড়াতো সারাদিন। অনেক বন্ধুই ছিল তামজিদের। কিন্তু সাকিব নামের একটি ছেলে ছিল ওর প্রিয় বন্ধু। সাকিব ছিল তামজিদের ঠিক উল্টো বৈশিষ্ট্যের এক ছেলে। সে ছিল অসম্ভব ধরনের শান্ত ছেলে। এক অকল্পনীয় দুষ্টু ছেলের সাথে উল্টো বৈশিষ্ট্যের এক ছেলের কিভাবে এতো গভীর বন্ধুত্ব হয়েছিল কে জানে ! তবে ওদের দুজনের একটি মাত্র বৈশিষ্ট্যের মিল ছিল। আর তা হল ওরা দুজনই ভালো ছাত্র ছিল। ক্লাসে সবার আগে পড়া দেওয়া, পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা এগুলোতে দুই বন্ধুই ছিল সমান প্রতিদ্বন্দ্বী। মাঝে মাঝে ওদের টুকিটাকি ঝগড়াও হতো। দু একদিন কথা না বলা এর চেয়ে বেশি অভিমান কখনই দেখা যেত না। দু একদিন পর এমনিতেই সব ঠিক হয়ে যেত। স্কুলে অসম্ভব নানা প্রকার দুষ্টুমিতে মেতে থাকত তামজিদ। একদিন খুব সকাল বেলা তামজিদ স্কুলে এসে হাজির। তাড়াতাড়ি আসার পিছনে ওর একটা দুষ্টু বুদ্ধি কাজ করেছিল। আগের দিন স্কুল ছুটির সময় ফুলের বাগানের সবচেয়ে বড় একটা ফুটফুটে ফুল নজরে পড়েছিল তামজিদের। আর এই ফুলটি পেতেই তামজিদের আজ সকাল সকাল স্কুল আগমন। সে ভালভাবেই জানে কোন ফুলে টোকা দেয়ার উপরেও সিদ্দিক স্যারের কড়া আদেশ আছে। কিন্তু এই ফুল যে ওর যেকোনো মুল্যেই চাই। অথচ সে জানত না সে এই ফুলটি ছিঁড়ে কি করবে। তবুও কি এক আকর্ষণ তামজিদকে এই ফুল ছিঁড়তে বাধ্য করল। ফুলটি ছেড়ার আগ মুহূর্তেও সে জানত এ কাজের জন্য ধরা পড়লে সিদ্দিক স্যারের কতটা পিটুনি খেতে হবে। অনেকবার অনেক শাস্তি পাওয়ার অভিজ্ঞতাও আছে তামজিদের। সিদ্দিক স্যার হলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। সবাই ওনাকে হেড স্যার বলে ডাকে। অনেকে আবার দুষ্টুমি করে মারকুটে স্যার বলেও ডাকে। যেকোনো সামান্য অপরাধও তাঁর কাছে মাফ নেই। কোন অপরাধ করলে সেই ছাত্রকে যে শাস্তি পেতেই হবে। সাকিব আজ কিছুটা দেরিতে স্কুলে আসল। প্রতিদিনের মত সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে ক্লাস শুরু হল। প্রথম ক্লাস গনিত শিক্ষক শিহাব স্যারের। কিন্তু একি ক্লাসের দিকে এগিয়ে আসছেন মারকুটে সিদ্দিক স্যার। হাতে একটা লম্বা এবং কিছুটা মোটা একটা বেত। তামজিদ ইতিমধ্যে বুঝে গেছে সিদ্দিক স্যারের আগমনের কারণ। কি কারণে যেন তিনি জানতেন ফুল চুরির এই কাজটি ক্লাস থ্রির কেউ একজন করেছে। ক্লাসে ঢুকলেন সিদ্দিক স্যার। কোথাও কোন পিঁপড়ে হাঁটার শব্দও নেই। স্যার হুংকার দিয়ে বললেন, ‘ফুল ছিঁড়েছে কে?’ তাঁর এই চিৎকারে জানালার ধারের গাছের ডালে বসা দোয়েল পাখিটাও উড়ে পালিয়েছে। তামজিদের গলায় সম্ভবত আর দু এক ফোঁটা পানি আছে গলায়। ভয়ে সে একেবারে কাঠের মত হয়ে গেছে। আস্তে আস্তে গলার বাকি পানিটাও শুকাতে শুরু করল। সাকিব আর তামজিদের চোখাচুখি হওয়ায় এবং তামজিদের মুখের অসহায়ত্ব দেখে সাকিবের আর বুঝতে বাকি রইলনা যে এই ফুল তামজিদই ছিঁড়েছে। সাকিব ভেবে পাচ্ছিলনা যে সে কিভাবে বন্ধুকে সহায়তা করবে। এদিকে সবার নিরবতায় সিদ্দিক স্যারের রাগ ২২৮ গুণ বেড়ে গিয়েছে। সাকিব কিছু বুঝে উঠার আগেই নিজের অজান্তেই বন্ধুকে বাঁচাতে দাড়িয়ে মাথা নিচু করে স্যারকে বলল, “স্যার ফুলটি আমিই ছিঁড়েছি।” স্যার এ কথা শুনে যে কি পরিমাণ রেগে গেছেন তা বলা এখন মুশকিল ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধুর এই আকস্মিক সহায়তার হাত দেখে তামজিদ তো পুরো হতবাক হয়ে গেছে। সে ভেবেও পায়নি বন্ধুকে বাঁচাতে যে সাকিব নিজের ঘাড়ে তামজিদের দোষ টেনে নিবে। স্যার প্রচণ্ড গতিতে সাকিবের কাছে এসে হাতটি ধরে টেনে হিঁচড়ে বিদ্যুতের গতিতে নিয়ে গেল মাঠের দিকে। আর বলতে লাগলেন, ‘আয় বদমাশ, আজ তোকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।’ কে জানে আজ সিদ্দিক স্যার সাকিবকে কি শাস্তি দিবে! কেউ কোন শব্দ না করে জানালাগুলো দিয়ে মাঠের দিকে তাকাল। সিদ্দিক স্যার কি যেন শাস্তির কথা বলছেন সাকিবকে। একটু পর বোঝা গেল সাকিবকে মাঠে রোদের মাঝে কান ধরে পুরো মাঠ ঘুরতে হবে। কিন্তু কতবার তা তখনও কেউ জানেনা। সাকিব খুব মন মরা মুখে হাত দিয়ে কানটি ধরে একে একে ২০ বার মাঠে প্রদক্ষিন করল। এক সময় শেষ হল সাকিবের শাস্তি। সাকিব ধীরে ধীরে আসছে ক্লাসের দিকে মাথা নিচু করে। এদিকে তামজিদ খুব কষ্ট পেয়েছে বন্ধুর শাস্তি দেখে। সে কিছুই বলল না। স্কুল ছুটি হল প্রতিদিনের মত বিকেল চারটা ১০ মিনিটে। ওরা দুজনই গল্প করে রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে বাসা ফিরছে। হটাত থামল তামজিদ। পকেটে হাত ঢুকিয়ে কি যেন বের করতে চাচ্ছে। তামজিদের মনে পড়েছিল গোলাপ ফুলটির কথা। সে সেই ফুলটি অকারণেই চুরি করেছিল শুধুমাত্র তাঁর দুষ্টু বুদ্ধির কারণে। সে ঠিক করল ফুলটি সাকিবকেই দিবে। পকেট থেকে ফুলটি বের করল তামজিদ। পকেটে থেকে ফুলটি একেবারেই মনমরা হয়ে গেছে। সে সাকিবের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে ফুলটি এগিয়ে দিল একটা লুকানো হাসি সহ। সাকিব সেটা মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে হাতে তুলে নিল। আর দেড়ি না করে তাঁরা বাসার পথে আবার হাঁটা শুরু করল। পরদিন সাকিব স্কুল যাওয়ার পথে তামজিদকে একটি খারপ সংবাদ দিল। সাকিবের বাবা চাকুরির বদলির কারণে তাঁরা পরিবার সহ রংপুর থেকে কুষ্টিয়ায় চলে যাবে। খবরটি শুনে তামজিদ ভিতরে ভিতরে আকাশ থেকে মাটিতে পড়ার মত অবস্থা। সে কিছুতেই ভাবতে পারছেনা প্রিয় বন্ধু সাকিব চলে যাবে। দু তিনদিন পর সাকিবের বিদায়ের দিন চলে এল। অনেক কষ্টে তামজিদ সাকিবকে বিদায় জানাল। দু বন্ধুই প্রচুর পরিমাণ কষ্ট পেয়েছে। শুধুমাত্র বন্ধুর চলে যাওয়ার কষ্ট অনেকদিন কাঁদিয়েছে তামজিদকে। এ কারণে তামজিদের মাঝে এসেছে বিরাট পরিবর্তন। সে আর আগের মত চঞ্চল নেই, খেলাধুলা করেনা আগের মত। চার বছর চলে গিয়েছে বন্ধুহীন সাকিব তামজিদের জীবন। সাকিবেরও ঠিক একই অবস্থা তামজিদের মতই। এখন তামজিদ ক্লাস এইটে পড়ছে। পড়াশুনা, স্কুল যাওয়া আসা, খাওয়া দাওয়া এসব ছাড়া আর তামজিদের রুটিনে আর কিছুই নেই এখন। চার বছরের একদিনও তামজিদের সাথে সাকিবের আর যোগাযোগ হয়নি।  একাকিত্ত কাঁটাতে সে একদিন ফেসবুক নামের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একটা আইডি খোলে। ওদিকে সাকিব ফেসবুকের আইডি খুলেছিল তামজিদের আইডি খোলার মোটামুটি ৬ মাস আগে। তামজিদ পত্রিকায় পড়েছিল যে পুরনো বন্ধুদেরকে ফেসবুকে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। সে অনেক খুঁজে সাকিবকে ফেসবুকে পেয়ে যায়। এক লাইনের সে একটা মেসেজ দেয় সাকিবকে। মেসেজে লেখা, “সাকিব, আমি তোর বন্ধু তামজিদ”। পরদিন সাকিব একসময় অবসর পেয়ে ফেসবুকে লগিন করল একটু অবসর সময় কাটানোর জন্য। ফেসবুকে প্রবেশ করেই সে ৩ টি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দেখতে পেল। খুব অলসভাবে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অপশনটিতে ঢুকল। ৩ নম্বর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টটা চোখে পড়তেই সে নিজের অজান্তেই বলে উঠল, “আরে, এটা তামজিদ না!” সে মেসেজ চেক করে নিশ্চিত হল যে এটি সাকিবেরই ছোটকালের সেই প্রিয় বন্ধু তামজিদ আহমেদ জিয়ান। দুজনে অনেক সময় ধরে গল্প করল। পুরনো সেই বন্ধুর সাথে কতই না গল্প করল। সাকিব এবং তামজিদ দুজনই এখন মোবাইল ব্যবহার করে। পুরনো বন্ধুত্বকে নতুনভাবে পেয়ে ওরা আজ অনেক খুশি। এখন ইচ্ছে হলেই মোবাইলে কথা বলে দুই বন্ধু। এভাবে কেটে যায় আরও এক বছর। সাকিব-তামজিদ এখন ক্লাস নাইনে। একদিন সাকিব সকালে স্কুল যাওয়ার প্রস্তুত হয়ে রাস্তায় রিক্সার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। রাস্তায় স্কুলের বাস পেয়ে সে বাসেই উঠে পড়ে। স্কুল যেতে আধা ঘণ্টা বসে থাকতে হবে বাসে। তাই সে মোবাইলটা বের করে সময় কাটানোর জন্য ফেসবুকে লগিন করে। একটি মেসেজ পাঠিয়েছে  তামজিদ। মেসেজে লেখা, ’বন্ধু, কেমন আছিস? স্কুল গিয়েছিস’? আমিও স্কুল যাচ্ছি। এবার ঠিক করেছি যে এবারের ঈদের ছুটিতে তোদের বাড়ি থেকে একটু বেড়িয়ে আসব। তামজিদকে অনলাইন পেয়ে মেসেজ দেওয়ার কথা ভাবতেই কি যেন হয়ে গেল সাকিব কিছুই বুঝতে পেল না। বাসের পিছনে আসা একটি ট্রাক অসাবধানতায় ধাক্কা দিয়েছে সাকিবদের স্কুল বাসকে। বাসটি পাশের খাঁদে পড়ে গিয়েছে। মারা গেছে ৬ জন শিক্ষার্থী এবং ১ জন শিক্ষক। বাকি সবাই গুরুত্বর আহত। সাকিব প্রচণ্ডভাবে মাথায় ও বুকে আঘাত পেয়েছে। মেডিকেলে ভর্তি করানো হল মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার আহতদেরকে। সাকিবের অপারেশন করানো হল। ওদিকে তামজিদ কিছুই জানেনা সাকিবের কি হয়েছে, কেন সে মেসেজের উত্তর দিলনা, কেন সে ফোন ধরছেনা? অনেক ফোন আর মেসেজ পাঠিয়েছে তামজিদ। কিন্তু ফোনটা তো দুর্ঘটনায় ভেঙ্গেচুরে ধুলোর সাথে মিশে গিয়েছে। হাসপাতালের বেডে ৬ দিন ধরে জীবন কাটাচ্ছে সাকিব। ৭ তম দিনে সাকিব ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বুকের অনেক হাড় ভেঙ্গে গিয়েছিল ঐ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়। এছাড়া সারা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অনেক ক্ষত হয়েছে। ডাক্তাররা প্রাণ পনে চিকিৎসা করে যাচ্ছে সাকিবের। রাত ১০ টা ১৯ মিনিট, সাকিব মারা যায়। কান্নার আর শোকের সমুদ্র নেমে এসেছে সাকিবের পরিবারে। এখনও তামজিদ কিছুই জানেনা। সে প্রতিদিনই অসংখ্য মেসেজ পাঠায় সাকিবকে। অসংখ্যবার ফোন দেয় সাকিবকে। কোন কিছুই কাজে লাগেনি। সাকিব পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিয়ে চলে গেছে এ কথা তামজিদ কি মেনে নিতে পারবে ! আর ১৫ দিন পর ঈদ উল ফিতর। তামজিদ ঠিক করেছে ঈদের ছুটিতে সাকিবের বাসায় যাবে। সাকিবের সাথে দীর্ঘ ৫ বছর পর দেখা করতে যাবে। সাকিবের পরিবার শোকের সমুদ্রে পড়ে তামজিদকে এত বড় মর্মান্তিক, হৃদয় বিদারক সংবাদ কিছুতেই জানাতে পারেনি। স্কুল ঈদের ছুটি দিয়েছে ১৫ দিনের। তামজিদের এ কয়েকদিন সাকিবের খোঁজ না পেয়ে খুব অস্বস্তি বোধ করেছে। সে স্কুল ছুটি হওয়ার দিনই ঠিক করল সে পরেরদিন কুষ্টিয়া যাবে সাকিবের বাড়িতে। পরেরদিন সকালে মা-বাবাকে বলে রওনা দিল তামজিদ। একসময় পৌঁছে যায় তামজিদ কুষ্টিয়ায়। তখন ঘড়িতে কয়টা বাজে এটি দেখার কথা রীতিমত ভুলেই গিয়েছে তামজিদ। সাকিবের বাসার উদ্দেশে বাস থেকে নেমে রিক্সা করে রওনা দিয়েছে সে। সাকিবের জন্য কোন উপহার নেওয়ার কথাই ভুলে গেছে তামজিদ। পথে একটি ফুলের দোকান পেয়ে সে সাকিবের জন্য একটি ফুলের তোড়া কিনে নিল। তামজিদ সাকিবের বাড়ির ঠিকানা সঠিকভাবে জানত না। মানুষের সহায়তায় একসময় সাকিবের বাসায় পোঁছাল তামজিদ। মনে মনে অনেক খুশি আজ তামজিদের মন। আজ কত বছর পর সাকিবের সাথে দেখা হবে ওর। বাসার কলিং বেলটা চাপতেই দরজা খুলে দিল সাকিবের মা। তামজিদকে দেখে তিনি কিছুটা খুশি হয়েও তাঁর মন খারাপ হয়ে গেল। কিভাবে তিনি ওকে সাকিবের মৃত্যুর কথা জানাবেন? তামজিদ কি এই সত্য মেনে নিতে পারবে? সে কি এই সত্য বিশ্বাস করতে পারবে? দরজা খোলার পরপরই সাকিবের মা-কে সালাম দিল তামজিদ। এরপর তামজিদকে বাসার ভিতর নিয়ে গেলেন সাকিবের মা। তামজিদ বাসার ভিতরে প্রবেশ করেই বারবার সাকিবের খোঁজ করতে লাগল। কিন্তু সাকিবের মা কিছুতেই ভেবে পাচ্ছেননা যে কি বলবে তামজিদকে ? তিনি তামজিদকে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিতে বলে নাস্তা তৈরি করতে চলে গেলেন। তামজিদ ফ্রেশ হয়ে সাকিবের ঘরে বসে বসে টিভি দেখতে লাগল। এরপর সাকিবের মা নাস্তা নিয়ে ঘরে এলেন এবং নাস্তা খেতে বললেন। তামজিদ নাস্তা খেতে খেতে জিজ্ঞেস করল, “আন্টি, সাকিব কোথায়? ওকে তো এখনও দেখলামনা” সাকিবের মা অনেক আগে থেকেই ভাবছেন যে সাকিবের মৃত্যুর কথা কিভাবে বলবে তামজিদকে? তিনি কিছুই ভেবে পাচ্ছিলেননা। হটাত করে তিনি হু হু করে কেঁদে উঠলেন। আর কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলেন, “সাকিব আর পৃথিবীতে নেই। ও মারা গেছে!” তামজিদ এতক্ষণে অজ্ঞান হওয়ার মত অবস্থা। সে পাথরের মত কঠিন হয়ে স্থির হয়ে গেল। চোখ দিয়ে এতক্ষণে অবিরাম পানি ঝরে যাচ্ছে। মুখে একটি শব্দও নেই, মুখটা শুকিয়ে ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। সে কিছুতেই এই চিরন্তন সত্য বিশ্বাস করতে পারছেনা। নিজের অজান্তেই এখনও সে ভাবছে সে কি ঠিক শুনেছে যে সাকিব মারা গেছে? সাকিবের মায়ের কান্না এখনও থামেনি। তবুও তিনি তামজিদকে সান্ত্বনা দিতে লাগলেন। ধীরে ধীরে তিনি সেই দিনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা তামজিদকে জানালেন। তামজিদ এখনও কোন শব্দ করেনি। নিরব অশ্রুমাখা চোখে মন দিয়ে ঘটনা শুনল। তবুও সে এসব বিশ্বাস করতেই পারছেনা। বিকেল বেলা তামজিদ রংপুরের উদ্দেশে রওনা দিল। জীবনের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর মৃত্যু তামজিদকে একেবারেই অন্য তামজিদ তৈরি করেছে। তামজিদ একেবারেই নিরব হয়ে গেছে। পড়াশুনা বাদে এখন আর কিছুই করেনা তামজিদ। ফেসবুকেও লগিন করেনা কখনও। তবে গত ১ বছরে ৩ বার লগিন করেছিল। আর সাকিবের সেই পুরনো মেসেজগুলো দেখে নিরবে কেঁদেছে। সরিষা ক্ষেতের সরিষা ফুল এখনও বাতাসে দুলছে। তামজিদ এখনও ঐ এক দৃষ্টিতেই চেয়ে আছে সামনের দূর প্রান্তের দিকে। তামজিদ এখন এভাবেই বসে বসে সাকিবের কথা ভাবে । পুরনো স্মৃতি মনে করে, নিরবে কাঁদে… … …
    Read more
    0

    আপনার জন্য নিয়ে নিন ফেসবুক ফটো কমেন্টের ২০০০+ ছবির কালেকশন

  • sohag
  • বেশকিছুদিন আগে ফেসবুকে চালু হয়েছে ফটো কমেন্ট অপশন। এতে আমরা প্রায় সচরাচরই ফেসবুক কমেন্টে সুন্দর সুন্দর হাসির ফটো দেখে থাকি। আজ আপনাদের জন্য উপহার হিসেবে থাকছে এরকম ফেসবুক ফটো কমেন্টের প্রায় ২০০০+++ কালেকশন। এখনই লুফে নিন আমার দেয়া এই ছোট উপহারটি।
    Faceboook Funny Photo Comment
    ফেসবুক ফটো কমেন্ট
    আপনাদের সুবিধার্থে ফেসবুক ফটো কালেকশনগুলো দুই ভাগে আপলোড দেয়া হয়েছে। একটি ভাগে রয়েছে প্রায় ৪০০+ ছবি । যার সাইজ মাত্র ৭.৭ মেগাবাইট । অন্য কালেকশনটিতে রয়েছে প্রায় ২০০০ ছবি। যার সাইজ ৩৯.৫৮ মেগাবাইট !!! আপনার সুবিধামত কালেকশনটি নিচের লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিন তাড়াতাড়ি । >> কালেকশন ১ (৭.৭ মেগাবাইট) >> কালেকশন ২ (৩৯.৫৮ মেগাবাইট)
    Read more
    0

    অনলাইনে ফ্রি ম্যান্ডেলার ডকুমেন্টারি

  • sohag
  • নেলসন ম্যান্ডেলা
    কন্টাক্টমিউজিক জানিয়েছে, “ম্যান্ডেলা: দ্য ওয়ার্ল্ড দ্যাট মেড হিম” নামের এই শর্ট ডকুমেন্টারি ফিল্মটি পরিবেশনা করেছে সিনারজি ফিল্মস।
    ২৩ মিনিটের এই ফিল্মে দেখানো হয়েছে ম্যান্ডেলার ছোটবেলার গ্রাম কুনু, যেখানে তিনি তার জীবনের সবচাইতে ভালো সময় কাটিয়েছিলেন। ওখানেই ১৫ ডিসেম্বর তাকে সমাধিস্থ করা হচ্ছে।
    ওয়ার্ল্ড দ্যাট মেড হিম’-এর মধ্যে আরও দেখানো হয়েছে আফ্রিকার আদিবাসীদের নাচ এবং গান। এছাড়াও দেখা যাবে ম্যান্ডেলার প্রিয় লাঠিখেলা ‘নাগুনি’। 
    ফিল্মটিতে আরও দেখা যাবে ম্যান্ডেলার বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বক্তৃতার আর্কাইভ ফুটেজ, সেইসঙ্গে আছে তার জনপ্রিয় বই ‘কনভারসেশন উইথ মাইসেলফ’ থেকে নেওয়া তার বিভিন্ন উদ্ধৃতি। (খবর বিডি নিউজ ২৪ ডট কম এর)
    • ইউটিউবে ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন । 
    Read more

    আমার ফেসবুক ফ্যান পেজে লাইক দিয়ে আপডেট থাকুন

    Powered By Blogger Maruf